বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
পর্যটক সামলাতে দেয়াল তুলছে জাপান ঢাবিতে গোলাম মাওলা রনির ওপর হামলা টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র, একাদশে যারা আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ হয়নি: ওবায়দুল কাদের অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা অব্যাহত থাকবে কৃষি খাতে ফলন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী ভিকারুননিসায় ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল, অনিয়ম তদন্তের নির্দেশ ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে থাকতে পারে : সিইসি সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা যে বার্তা দিচ্ছে শিয়ালের টানাহেঁচড়া দেখে মাটি খুঁড়ে পাওয়া গেল এক নারী ও দুই শিশুর লাশ
খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে দিন দিন কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে : ফখরুল

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে দিন দিন কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে : ফখরুল

স্বদেশ ডেস্ক:

গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা বাংলাদেশে দিনে দিনে কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।

শুক্রবার সকালে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের জাতীয় সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা একটা কঠিন সময় পার হচ্ছি, একটা সংকট মুহূর্ত পার হচ্ছি। আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অন্যায় ভাবে সাজা দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।’

সরকারকে উদ্দেশ করে ফখরুল বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ। আপনারা তাকে গৃহবন্দি করে রেখেছেন। তার চিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে চেয়েছেন সেটাও আপনারা দেননি। আপনারা তাকে বাংলাদেশে রেখেই চিকিৎসা করাতে বলছেন। কিন্তু এখানে তার চিকিৎসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে দিনে দিনে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। আমরা এর নিচে কিছু চাই না। মুক্তি দিতে হবে, নিঃশর্তভাবে মুক্তি দিতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের যে সমস্ত নেতা-কর্মী বন্দি আছেন তাদের সবাইকে মুক্তি দিতে হবে। আমাদের নেতা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আমাদের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ৩৫ লাখ মামলা আছে সেগুলো প্রত্যাহার করতে হবে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে।’

গুলিস্তানে মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের চতুর্থ জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। টানা ২২ বছর পর কৃষক দলের এই জাতীয় সম্মেলন হচ্ছে। সবশেষ সম্মেলন হয়েছিল ১৯৯৮ সালের ১৬ মে।

সকাল ১০টায় মহানগর নাট্যমঞ্চের প্রাঙ্গণে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, রঙিন বেলুন ও সাদা কবুতর অবমুক্ত করে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ও কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু। এ সময় জাতীয় সঙ্গীত এবং পরে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে হবে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব কাউন্সিল অধিবেশন। এই সম্মেলনে সারাদেশে থেকে আসা সংগঠনটির ৫৪৮ জন কাউন্সিলর অর্থাৎ ৭৯টি সাংগঠনিক জেলার ৩৯৫ জন এবং কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির ১৫৩ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

উদ্বোধনীর অনুষ্ঠানের বক্তব্যের সমাপ্তিতে সংগঠনের বিধান অনুযায়ী নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের পূর্বাহ্নে কৃষক দলের ১৫৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব। বিকেলে কাউন্সিল অধিবেশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন হবে।

গত বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে কৃষক দলের ১৫৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কৃষকদের সংগঠিত করতে হবে। তাদের অধিকার আদায় করতে কৃষক দলকে সক্রিয় হতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ সুদসহ মওকুফ করে দিয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ২৫ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মাফ করে দিয়েছিলেন। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই কৃষকদের ঋণ সহজ করে দিয়েছে।’

কৃষকদের দুরবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি আরো বলেন, ‘এই সরকার কৃষকদের জন্য এমন কিছু করেনি যা দিয়ে তারা বলতে পারবে আমরা কৃষকদের জন্য এই এই কাজগুলো করেছি। কোভিড-১৯ এর প্রণোদনা দিয়েছে বিভিন্ন সেক্টারে, কৃষিক্ষেত্রেও দিয়েছে। কিন্তু কৃষিক্ষেত্রের টাকাগুলো তাদের নেতারা (আওয়ামী লীগ) পকেটে ভরে নিয়েছে। আড়াই হাজার টাকা করে অনুদান দেয়ার কথা ছিল, সেটাও তারা পকেটে ভরে নিয়েছে। এই সরকার লুটেরা সরকারে পরিণত হয়েছে।’

কৃষক দলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সদস্য এস কে সাদীর পরিচালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃষক দলের সৈয়দ মেহেদি আহমেদ রুমি, একেএম মোয়াজ্জেম হোসেন, নাজিমউদ্দিন, আফতাব উদ্দিন আহমেদ মন্ডল, জামালউদ্দিন মিলন, এমএ হালিম, নাসির হায়দার, জিয়াউল হায়দার পলাশ, লুতফুর রহমান, মাহমুদুল হক সানু, শরীফুল ইসলাম মোল্লা, মহসিন আহমেদ তুষার, আনোয়ারুল হক, এনায়েতুল্লাহ খোকন, রবিউল হাসান পলাশ, সালাহউদ্দিন খান মিলকী, নাসিরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চু, রফিকুল আলম রফিক, মাহবুবুর রহমান আউয়াল, আনোয়ারুল ইসলাম বাদশা বক্তব্য রাখেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংগঠনিক প্রতিবেদন পেশ করেন কৃষক দলের সদস্য সচিব হাসান জাফির তুহিন এবং শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন তকদির হোসেন জসিম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শহিদুল ইসলাম বাবুল, অনিন্দ্র্য ইসলাম অমিত, আবদুল খালেক, আমিরুজ্জামান শিমুল, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম ও ছাত্রদলের ইকবাল হোসেন শ্যামল উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877